May 29, 2020

চন্দ্রাহত



‘শিকড় ও মাটির ফাঁকে
গাঢ়তর জমে থাকে
চন্দ্রাহত বেদনা অপার...’

প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে লুকিয়ে থাকা বেদনার রূপ হল কবি দেবলীনা সেনগুপ্তের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ - চন্দ্রাহত। এই বইয়ে কবি প্রকৃতির কোলে এঁকেছেন তাঁর যত্নে লালিত তেল সিঁদুরেরে সংসার।সেখানে কখনও ভিড় করেছে ভালবাসা, কখনও অজানার হাতছানি উপেক্ষা, কখনও বা না পাওয়া হতাশা বিন্দু। কবির লেখার চালে রয়েছে এক আটপৌরে ভাব। যেন মা মাসি রান্নাঘরে টুং টাং শব্দে ব্যস্ত, পোলাও কালিয়ার মাঝে গুঁজে দেয় স্নেহের কিসমিস। সকল ব্যর্থতারা কাঁচা আনাজে মিশে ছড়ায় সুবাস, রাঁধুনির মুখে গর্বের হাসি।

‘সন্মুখে একথালা জুঁইফুল ভাতের পাশে
সোনারং হাত বেরে দিত
পঞ্চব্যাঞ্জনের অমৃত কবিতা
শেষ পাতে একবাটি দুধে
সোহাগে গলে যেত খেজুর পাটালির কোমলতা’

     এ বই কবির হাতে গড়া সংসারকে বহন করে।তাই ঈশ্বর থেকে কবির বাবা, কেউ বাদ যাননি কবির চিন্তার পৃষ্ঠা থেকে। যেন কবির সকলের সাথে সাথে যুদ্ধ, নিজেকে খোঁজার যুদ্ধ। চারপাশের চোরাবালির মাঝে তলিয়ে যেতে কবির বড় অনীহা। তাই সে গর্জে ওঠে বারবার যেন বলে যেতে চায় তাঁর সাধারণের মধ্যে যে অসাধারণ রয়েছে তাকে খুঁজে বের করার দায় কবির নয়, আমাদের।

‘একা একা নারীর মতোই
ঈশ্বরের দুচোখে জল শুধু জল
ভালোবাসার এবং ভালোবাসতে না পারার...’

‘শস্যের পাশে লিখে রাখি ক্ষুধা ও আহার
মুঠোভরে তুলে নি
যখন যা মন
মুঠোখুলে দেখি যখন
শূন্য আকাশ শুধু মরুবালু রং...’

     চন্দ্রাহত বইটির প্রচ্ছদ ছবি হিসেবে সুন্দর কিন্তু বইটির সাথে সঙ্গতে একটু তাল চ্যুত মনে হয়েছে। কবিতাগুলো সাজানোয় কোথাও কোথাও একটু অগোছালো ছাপ, যেমন আটপৌরে কবিতার ঠিক পরেই স্বদেশের জয়গাঁথা একটু রসভঙ্গ করে। যেমন করে চেরাপুঞ্জির সৌন্দর্যে হারিয়ে পাঠক হঠাৎ রবীন্দ্রনাথকে দেখে হোঁচট খাবেন। কবি দেবলীনার সবে চলা শুরু এবং এসব ছোটো খাটো নুড়ি পাথর বেছে উনি ভবিষ্যতের রাস্তা সুদৃঢ় ও সুমসৃণ করবেন সুনিশ্চিত।

     সবশেষে এই বলা যায়, যে বইয়ের আমেজ কবি সঞ্জয় চক্রবর্তী তাঁর মুখবন্ধে বেঁধে দিয়ে যায় সুনিপুণ শব্দে সেখানে আর কিছু বলাটাই বাচালতা। শুধু মুখ বন্ধ করে ডুব দিতে হয় এক অমোঘ শব্দারণ্যে।

‘হাত ধরো, চলো যাই মিলে
অক্লান্ত পদাতিক মিছিলে’

‘পড়ে থাক নিছক রূপটান
শরতের সুধা নিয়ে
দেহমন্দিরে
বাজুক রূপগান


বই          : চন্দ্রাহত  
লেখিকা       : দেবলীনা সেনগুপ্ত
প্রকাশকাল    : ২০১৬
প্রকাশক      : ভিকি পাবলিশার্স
প্রচ্ছদ        : শুভজিত পাল




প্রকাশিত ' মে'খানা - শুধু কবিতার ' পত্রিকায়, পঞ্চম প্রকাশ, মে, ২০১৯  ( গুয়াহাটি, অসম )

ইভা






প্রকাশিত ‘কবিতা যাপন’ পত্রিকায় , প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা,২০১৬  

হেমলক




প্রকাশিত হয় ‘কবিতা যাপন’ পত্রিকায় , প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা,২০১৬  


নেটওয়ার্কিং উবাচ




প্রকাশিত ‘কবিতা যাপন’ পত্রিকায় , প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা,২০১৬  

May 25, 2020

M-Seal


The M-seal used for sealing pipe leaks is a very easily available medium for moulding crafts.

1) This figure was made using a Terracotta pipe available in market for smoking tobacco (Chillam/ ছিলিম) as base for the body. 













2) This figure was made using a small glass bottle as base with the provision of opening and closing of cap/head.

Quilling


Quilling or more specifically Paper Quilling is an art form of creating designs and images using strips of coloured paper that are rolled, shaped and glued together. The strips are easily available at market or it can be cut out with patience from any paper sheet. I basically started quilling using some basic tips over internet. Let me share three of my quilling experiments.



 
    1)    The tribal lady

    The black acrylic colour was first painted for the figure and quilling was done for headgear, dress and other accessories.



















2)    Ant colony

This was made with basic 3 quilling bits for each ant and some comic add-ons.




3)    Couple owl

The basic owl figure was made first and then the background was filled.






বই প্রকাশ ৩


























আমার বই প্রকাশের সময় সোসাল মিডিয়ায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপন

কবিতা কেন লিখি?

@কমলিকা 


কবিতার এই যে রহস্যময় জগৎ - এটাই তার ইউ. এস. পি। এই মায়াবী পরিবেশ বেশি ভাবায় ও আকর্ষণ করে। এক অমোঘ টান বার বার নিয়ে আসে এই শব্দের খেলা ঘরে। আসলে এ যেন এক অন্য পৃথিবী- ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি। এই গলিপথে ভ্রমণ করা যায় খেয়াল খুশি মত,অথচ সম্পূর্ণ বন্ধনহীন ও নয়। নিয়ম বানানো, নিয়ম মানা  আবার নিয়ম ভাঙ্গা – সবটাই নিজের হাতের মুঠোয়। বাস্তব ও রূপকথা সেখানে মিলে মিশে এক হয়ে যায়। মনে হয় যেন শব্দ তুলি দিয়ে ক্যানভাস জুড়ে আঁকছি একের পর এক পটছবি, ঢেলে দিয়ে যাচ্ছি সব রঙ- সুখ, দুঃখ, আনন্দ, হতাশা।

কবিতার কাছে নিজেকে মেলে ধরা যায়। কবিতা আসলে হল ভাষার ওয়েসিস। এতে ডুব দেওয়া যায় জীবনের কঠিন বাস্তবের তপ্ত বালুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে। ধরা যাক একটা স্বপ্ন এই মাত্র ভেঙে গেল, অথবা এইমাত্র একটা স্বপ্ন পূরণ হল। ব্যস,  মনে নেমে এল এক ঝাঁক আবেগ ও উচ্ছাস। এই মুহূর্তর সেই স্পার্কটা ধীরে ধীরে সময়ের পড়তে কিন্তু হারিয়ে যাবে। কিন্তু একে যদি একবার নিজের মনের কথা  মিশিয়ে লিখে রাখা যায়, সে কিন্তু থেকে যায় তার সেই মুহূর্তর সত্যতা নিয়ে। অনেক বছর পর ও সেই শব্দেরা ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেই আবেগের কাছে। এটা অনেকটা ঝিনুক যেমন বালি থেকে মুক্ত বানিয়ে রাখে।  না বানালে দোষের কিছু নেই,কিন্তু বানালে পরবর্তী সময় কোথাও সেটা থেকেই যায়। তবে অমরত্বের লোভ নয়, শুধু মনের মধ্যে তৈরি হওয়া মুহূর্তগুলোকে একটু কাছে রাখতে কবিতার হাত ধরেছি। ভাললাগে মনের কথাগুলোকে বেশ পরিপাটি করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে ফটো এলবামের মত । মাঝে মাঝে হাতে নিয়ে হারিয়ে যাওয়ার মজাই যে আলাদা।

কোথাও সব মানুষের মনের একটা শিরা হয়তো এক রকম । তাই অন্য কবির লেখা কোন কবিতা মনে হয় যেন আমার কথা বলে। আশায়  থাকি আমার শব্দেও হয়তো কেউ খুজে পায় নিজের হারানো কিছু অনুভব। এই মনের সাথে মনের রিফু সেলাই করতে হাত বাড়াই কবিতার দিকে। জানি কবিতাকে ভালবেসে তার কাছে গেলে কবিতা নিরাশ করে না।


প্রকাশিত ‘দৈনিক বজ্রকন্ঠ’ ব্লগ-পত্রিকায় ২৬.০৩.২০২০(আগরতলা, ত্রিপুরা)


ছায়াশরীর

@কমলিকা 

এ লেখার শুরুতেই অনেকটা ফিল্মি কায়দায় বলা ভালো যে কবিতার সঠিক মানে বোঝা ও বোঝানো "মুশকিল হি নহি, না মুমকিন হে"। কবিতা কোনো পরীক্ষার খাতায় লেখা কুড়ি মার্কের রচনা না যে পাতা ভরে লিখে ভূমিকা, মূলকথা ও উপসংহার ভাগ করে দিলেই কাজ চলবে।তা চেষ্টা করাও বোকামি মাত্র। নানা মুনির নানা মত প্রবাদের মতো কবিতা কি এবং কেন এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংজ্ঞা নির্মাণের চেষ্টা হয়েছে এবং বলা ভালো যদিও আপাত দৃষ্টিতে দেখলে এই বিভিন্ন সময় ও অবস্থান বিভিন্ন মতের জন্ম দিয়েছে,সময়ের আতস কাঁচে কিন্তু সব একে অপরের পরিপূরক হয়েও দেখা দিয়েছে। এখানেই কবিতার রহস্যময়তা,কবিতার আসল ম্যাজিক। কবি কার্ল স্যান্ডবার্গ বলেছেন ,"কবিতা হলো এক প্রতিধ্বনি, এক ছায়াশরীরকে নাচতে বলার আবদার।" সেই প্রতিধ্বনি ওঠে কবির গহন মনে।দিনের কাজের ফাঁকে হঠাৎ আসে সে অলীক ডাক,আর কবি তাঁর সকল বাইরের জগৎ ছেড়ে মেতে ওঠেন নির্মানকলায়।


কবিদের এই কাব্যজগত কিন্তু বেশ মায়াবী স্বপ্নময়।তাঁর চোখের মাঝে যে প্রতিবিম্ব তৈরি হয় তা সর্বসাধারণ থেকে আলাদা। এই যে আলাদা অনুভূতি,এটাই তফাত এক সাদামাটা বাক্য আর কবিতার শব্দবন্ধে। কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী একটি মজার উপমা দিয়েছেন কবিতা সম্পর্কে। উনি কবিতা রচনাকে সিংহ শিকারের সাথে তুলনা করেছেন। শিকারী খবর পেয়ে ছুটে যান সিংহ শিকারে।আদতে তিনি নিশ্চিত জানেন অব্দি না সেখানে সিংহ আছে কি নেই,থাকলে সঠিক স্থান কোথায়। অথচ শুধু শোনার উপর নির্ভর করে তিনি খুঁজে বেড়ান ও হয়তো পেয়েও যান কখনো। কবিরা তাঁদের জীবনযাপনে ঠিক এভাবেই ছুটে চলেন কবিতার খোঁজে।কেউ খুঁজে পায়,কেউ পায় না,সে অন্য গল্প;কিন্তু খোঁজটাই আসল।


কবিতা হলো কবি জীবনের ওয়েসিস।সাধারণ জীবনের নানা কাজের ফাঁকে একটু আশ্রয়স্থল।সেখানে সে একা বাসিন্দা,তাঁর দায় নেই সামাজিক বেড়াজাল রক্ষার, হাসি দেখিয়ে কান্না লুকোবার। সেখানে সে ঈশ্বরের বরপুত্র- শুভ্র, পবিত্র, শান্ত। যে জীবনে একবার এই রহস্যস্থল উদঘাটন করতে পেরেছে, বারবার সে ফিরে আসতে বাধ্য। এবং এর জন্যই হয়তো আমার কবিতা লেখা, কবিতাকে ভালোবাসা।


বাংলা কাব্যভূবনে অজস্র নক্ষত্রপুঞ্জ স্বমহিমায় বিদ্যমান।নতুন প্রজন্মের এই আমরা ভাগ্যবান যে অগ্রজরা আমাদের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন এক বিরাট কাব্য সম্পদ। ভিন্ন দশকের ভিন্ন ফ্লেভার,ভিন্ন ধারা।এবার তাদের এই সম্পদকে সাথে নিয়ে নতুন ভাঙা গড়ার খেলায় নামটাই আমাদের কাছে সর্ববৃহৎ চ্যালেঞ্জ। সেই চির পরিচিত জীবন-মৃত্যু, প্রেম-বিরহ,শান্তি-সন্ত্রাস,সবই তো লেখা হয়ে আছে। তাই মাঝে মাঝে নিজের মনেই প্রশ্ন আসে কেন লিখবো? আসলে কবিতা হলো সেই 'বেস্ট ফ্রেন্ড ফরেভার' যাকে মন খুলে সব ভালো বা খারাপ লাগে বলা যায়।কিন্তু এই বলার কায়দাতেই লুকিয়ে আছে আসল ভানুমতির খেল। আমার যা বলার আছে বলবো, কিন্তু নতুন আঙ্গিকে।ধরা যাক,রবীন্দ্রনাথ যখন লিখেছেন ,উনি এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং যুগ সম্পর্কে জানতেন না, জানা সম্ভব ও নয়।তাই এ যুগের যে মানসিক দ্বন্দ্ব বা প্রতিঘাত , ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দায় একটা এ যুগের কবিদের থেকেই যায়। জানি এটা স্থূল উপমা হলো কিন্তু পুরানো কে সাথে রেখে যুগ বদল ও মানসিকতা বদলের জন্যেই আজ আমরা হাসছি, কাঁদছি, ভালোবাসছি ও কবিতা লিখছি। খুঁজে চলেছি নতুন রূপ,নতুন রস,নতুন শব্দ। আমাদের সকলেরই বিভিন্ন পথ সম্মিলিত হয় সেই এক কাব্য ভুবনে। এ যেন অনেকটা এল-ডোরাডোর ধনসম্পদ খোঁজার আশায় ভাসানো নাবিকের নৌকো।গন্তব্যে পৌঁছুনো যাক আর নাই যাক- আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ।



প্রকাশিত ‘দৈনিক বজ্রকন্ঠ’ ব্লগ-পত্রিকায় ৩১.১২.২০১৮(আগরতলা, ত্রিপুরা)

কুয়াশাভিসার




প্রকাশিত হয় ব্যতিক্রম মাসিক পত্রিকা, নবম বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা নভেম্বর ২০১৬ (গুয়াহাটি, অসম)   

গর্ভধারণ

@কমলিকা 
এমন এক হেমন্তরাতে
শিশির বীর্যধারণে
গাছের গর্ভবতী হয়
তারপর নাড়ি ছেঁড়ার
এক অফুরান প্রতীক্ষা
শেকড় মধু নির্যাসে
নিশ্চিত বেড়ে ওঠার আশ্রয়
অবশেষে এক ভবিতব্য সকালে
পালক পিতার হাত ধরে
পৌঁছে যাওয়া গন্তব্য জগৎ
মূল্য যাচাইয়ের হাতছানি।

গাছেরা গর্ভবতী হলে
রাজরাজরার ঘরে তৈরি হয়
আরেক থালা বাড়তি খাবার
ছুঁড়ে ফেলার জন্য।



প্রকাশিত হয় প্রারম্ভিক সাহিত্য পত্রিকা, পঞ্চম সংখ্যা, ২০১৬-য় (লামডিং, অসম)

দেবীপক্ষ




কামাখ্যা নগর দুর্গা পূজা কমিটি প্রকাশিত ‘অভিজ্ঞান’, ত্রয়োদশ সংখ্যা, ২০১৬-য় প্রকাশিত।

জীয়নকাঠি মরনকাঠি

@কমলিকা 
এমন এক নিস্তব্ধ রাতে
সুদুর একাকী বেজে ওঠে
কোনো নিরবিছিন্ন এস্রাজ
কুয়াশা ঘনিভূত তরঙ্গ
ঝিরঝিরে বৃষ্টি ভেবে হয় ভুল
তোমার শয্যাসঙ্গীনি তখন
বক্ষবন্ধনীর বন্ধনমুক্ত করে
তুলতুলে নরম কম্বল মাঝে
চাওয়া পাওয়া ভুলে স্বপ্নমগ্ন
ঠিক সেই মহেন্দ্রক্ষণে
ছুঁয়ে যেও আমার এই কবিতা ।

জেনে রাখো –
যদি সঠিক ভাবে
ছোঁয়ানো যায় জীয়নকাঠি
কবিতাও কখনো কখনো
কবি হয়ে ওঠে।




করিমগঞ্জ, আসামের ‘লালন মঞ্চ’ পত্রিকায়, চতুর্দশ বর্ষ, ১ম সংখ্যা,২০১৬-য় প্রকাশিত।

ছোঁয়া


@কমলিকা 

ছুঁয়ে যায় তো অনেকেই
বাসে অবাঞ্ছিত ব্রেক অছিলায়
পুজো পার্বণ ভিড় গুমোটে
প্রমোশন বা ইনক্রিমেন্ট
অথবা কিছু শেখানোর নাটকে
হাত বা অন্যকিছুর জোরে
ছুঁয়ে যায় তো অনেকেই
অনেকের মত ছুঁয়ো না তুমি
আমি যেন হারিয়ে না ফেলি
তোমার স্পর্শ উল্কি
তুমি আর যাই করো
ছুঁয়ে যেও না – অনেকের ছোঁয়া ।





করিমগঞ্জ, আসামের ‘লালন মঞ্চ’ পত্রিকায়, চতুর্দশ বর্ষ, ১ম সংখ্যায় প্রকাশিত হয়,২০১৬।   

May 24, 2020

তেরঙ্গা স্বাধীনতা

আমার বৃদ্ধ স্বাধীনতা
@ কমলিকা 
আমায় একটু মাটি দাও
মৃত্যুর কফিনে নয়
শ্বাসের রোপণ কার্যে
রক্তিম কাগুজে বীজ
যতনে রেখেছি দেরাজে
অলিখিত বসন্ত শ্রাবণে
ঘুমভাঙানিয়া গান বাজুক
আমায় একটু মাটি দাও। 

তিনসুকিয়া, অসম থেকে প্রকাশিত উজান পত্রিকা, দ্বাদশ সংখ্যা,২০১৬-এ রয়েছে এই কবিতাটি।  

স্বপ্নবদল

প্রকাশিত হয় একা এবং কয়েকজন পত্রিকায় , কবিতা সংখ্যা, ৩৭তম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর, ২০১৬ (গুয়াহাটি, অসম)

একটি কবিতার জন্য

@কমলিকা 

কী লেখো কবি প্রতি রাতে
আঁধারমালা ছিঁড়ে?
রাতজাগা যে বারণ বড়
ওতে চোখের কোণে কালি
শরীর আনচান, কী দরকার?
কী লিখছ আজ কবি
মৃত্যুর উৎসব বুঝি?
লেখার মাঝে ধীরে ধীরে
ঘন্টাঘড়ির কাঁটা ছুঁয়ে
একদিন ঠিক ধরে ফেলবে তাকে
হয়তো নির্ধারিত সময়ের
কয়েকটা বছর আগেই।




অথচ,
তুমি জানবে না কোনদিন
তোমার জীবনের হিসেব থেকে
খুবলে নেওয়া বছরগুলো
ও একটি রাতের কবিতা
একটা ছেলেকে কিছুতেই
এক অজানা ভবিতব্য রাতে
ব্লেড ঠেকাতে দিলো না
আশার ধমনীবেগে।

প্রকাশিত হয় অন্তঃকরণ পত্রিকায়, আগরতলা বইমেলা, ৪র্থ সংখ্যা,  ফেব্রুয়ারী-২০১৬(আগরতলা,ত্রিপুরা) 

More to see...