June 27, 2020

পোয়েটিক জানলায় কবিতার-মেঘ

‘এখন অন্ধকার চারিদিক

অথচ কিছু আগেও কলরব ছিল এই পথে

সকালের স্নিগ্ধ আলো পড়েছিল

ধূলি আলপনার উপর...’


এই নিগূঢ় অন্ধকার মনের প্যালেটে কথার ভীড় আঁকে, সেই কথারাই তো সাজে কবিতার মেঘ। মেঘেরা এসে আসর জমায় কবির জানলার কাঁচ ঘেঁষে। জন্ম নেয় ‘পোয়েটিক জানলায় কবিতার-মেঘ’। কবি নীলদীপ চক্রবর্তী তাঁর এই দু’মলাটের কবিতার বই জুড়ে পাঠকদের শুনিয়েছেন সেই সব মেঘেদের ফিসফাস কথা।

এই বইয়ের কবিতারা মনের কথা বলে। যে কথাদের সাজানো অলংকার চাই না সৌন্দর্যের খাতিরে। এ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তারাও হয়ে উঠেছে ঝকঝকে স্মার্ট।


‘প্রতি সন্ধ্যায় অর্ধেক চাঁদ নামে

নির্মীয়মান ফ্ল্যাট বাড়ির জলের পাইপ ধরে,

এর ঠিক বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকবে তুমি...’

 

‘এখনো তোর অট্টালিকার রঙিন ডিস্টেম্পার

দেওয়ালের বদলে আকাশ, কালো জানলায়।’

 

     মানব মনের বিচরণ বড় অদ্ভুত। কি নেই সেখানে ! যৌবন – কৈশোর, প্রেম- বিরহ, জীবন- মৃত্যু, সব রঙের ককটেল। সেই ককটেলটি সুদৃঢ় কাঁচের গ্লাসে পরিবেশন করেছেন কবি।

 

‘প্রেম, তুমি কি রেলগাড়ি হতে পার,

ছোট্ট ছেলের কল্পনারই লোকে?’

 

‘হে যক্ষ, হে মেঘ, হে প্রেম

যত মৃত্যু সব

শেষবার জীবন হয়ে যাক।’

 

জীবন মানে শুধুই স্বপ্নসুখ নয়, জীবন মানে ঘোরতর বাস্তব ও তার চাওয়া পাওয়া। তাই কবির কলমে উঠে এসেছে কিছু খুঁজে বেড়ানো প্রশ্ন, কিছু না পাওয়া ইচ্ছেকুচি। কবিমন বার বার আঘাত হানে পাঠকের চেতনায়। বলে ওঠেন-

 

‘কোন অগ্নি, কোন বন্যা, কে ভাষায়

কে পোড়ায় – ভাষা মায়ের মৃত শরীর?’

 

‘বোবা কান্না মূল থেকে গভীর ধ্বনিতে

কন্ঠে যে ঈশ্বর আছেন নির্বাক বধির’

 

জীবন যাপনের খবর জানাতে কবি শোনায়-

 

‘আমরা কাটি পুরোনো কাস্তে দিয়ে

হেলে দুলে পড়া কালো কালো যহ ধান

আমরা কাটি দিন, কাটি রাত্রি-নিদ্রাহীন।’

 

     ‘পোয়েটিক জানলায় কবিতার-মেঘ’এর প্রচ্ছদটি যেমন জানলার গ্রীল জুড়ে দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশের জানান দেয়, এই বইটির কবিতাতেও উঠে এসেছে বিভিন্ন আঙ্গিক, বিভিন্ন রঙ, বিভিন্ন অভিব্যক্তি।উঠে এসেছে স্বপ্ন বিহার-

 

‘অষ্টমীর স্নানের মোহনায় ফুটে থাকে

বসন্ত কিশোরীর পদচিহ্ন।’

 

উঠে এসেছে কঠিন বাস্তব-

 

‘কারেংএর বিধৃত উপত্যকায় একা দাঁড়িয়েছে আহোম যুবক

ওর হেংদাং নিথর শুয়েছে খাপে...’

 

     পাঠক শুধু তুলে নেবে হাতে এবার, দু’চোখ ভরে দেখবে রামধনু- এক মেঘাচ্ছন্ন আকাশের বুকে।

 

বই       : পোয়েটিক জানলায় কবিতার-মেঘ 

লেখক      : নীলদীপ চক্রবর্তী

প্রকাশকাল : ২০১৯  

প্রকাশক    : নান্দীমুখ প্রকাশনী  

প্রচ্ছদ     : পুষ্পল দেব


June 25, 2020

স্বপ্ন শহর

প্রকাশ পায় গুয়াহাটি, অসমের পত্রিকা মে’খানা – শুধু কবিতার, পঞ্চম সংখ্যায়, মে ২০১৯




গাইড



প্রকাশিত হয় উত্তীয় পত্রিকার দ্বিতীয় পর্যায়, সপ্তম সংখ্যা, ২০১৮-২০১৯ এ। (শিলচর, 
অসম)

টিক-টাক-টো

প্রকাশিত ‘একা এবং কয়েকজন’ পত্রিকায়,৩৯ তম বর্ষ,প্রথম সংখ্যা,কবিতা সংখ্যা,সেপ্টেম্বর,২০১৮। (গুয়াহাটি, অসম)



June 21, 2020

তোমার ভীতু মেয়ে

খারুপেটিয়া ঘরোয়া সাহিত্য বৈঠক দ্বারা কবিপক্ষে কবিসন্মেলন-২০১৮ উপলক্ষে প্রকাশিত ‘কবিতা সংগ্রহ’ পত্রিকায় রয়েছে এই কবিতাটি। (অসম)





লাভ স্টোরিস




খারুপেটিয়া ঘরোয়া সাহিত্য বৈঠক দ্বারা কবিপক্ষে কবিসন্মেলন-২০১৮ উপলক্ষে প্রকাশিত ‘কবিতা সংগ্রহ’ পত্রিকায় রয়েছে এই কবিতা দুটি। (অসম)


ভূতের রাজা দিলো বর
















প্রকাশিত ছোটদের পত্রিকা ‘সাত সমুদ্দুর’ বর্ষ-৭, সংখ্যা-৯, সেপ্টেম্বর, ২০১৮য়(গুয়াহাটি, অসম)



ডায়েরির পাতা থেকে

প্রকাশিত হয় মজলিশ সংলাপ, চতুর্দশ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, জানুয়ারি- মার্চ ২০১৮(গুয়াহাটি, অসম)

সুভেনিয়ারের জন্যে লেখা

কামাখ্যা নগর পুজো কমিটি দ্বারা প্রকাশিত ‘অভিজ্ঞান’, চতুর্দশ সংখ্যা, ২০১৭-য় রয়েছে এই কবিতাটি (গুয়াহাটি, অসম)



June 13, 2020

Walnut Shell Craft




The walnut shells provide a very strong base and can be used in art collages with the help of some glue, acrylic colours and little bit of imagination.


These two crafts were made by me by pasting walnut shells on a fixed base and then adding colours after proper drying. The good part about this craft is the texture remains same over the years once the shells are properly scraped off and dried before use.

জন্মের কিছুটা আগে

@কমলিকা 
ফ্লাটবাড়ির পাশ ঘেঁষা

একফালি নরম সবুজে

চলছে কল্পনার নির্মাণ

উদোম মা ঠাকুর

ও তাঁর ছানাপোনা

এসময় বড় অদ্ভুত

চুল নেই,চাল নেই

ভস্ম করা ত্রিনয়ন নেই

সাজানো এক প্রাক-মুহূর্ত

মানব শরীর ধারণের।

 

সেদিনের সোনোগ্রাফি ছবি

মনে পড়ে যায় দোলার

আর পড়ে মনে -

জ্বলজ্বল বিসর্জনের সাক্ষর সম্মতি।



কাহিলিপাড়া দুর্গা মন্ডপ কমিটি পরিচালিত শারদ স্মারকগ্রন্থ ‘বাতিঘর’ হীরক জয়ন্তী (২০১৭) সংখ্যায় প্রকাশিত(গুয়াহাটি, অসম)

শ্রাবণ জাগ্রত দ্বারে

প্রকাশিত হয় মে’খানা শুধু কবিতার পত্রিকায়, তৃতীয় প্রকাশ, মার্চ, ২০১৭ (গুয়াহাটি, অসম)


কাঁটাতারের দেশে

@কমলিকা 

এদেশ-ওদেশের মাঝে

আরেক কাঁটাতারের দেশে

ঝুলে থাকতে থাকতে

নথিপত্ররাও কেমন যেন

ফ্যাকাশে দেখায় আজকাল,

রাতজাগা বরষায়

হতে চায় কাগজের নাও,

দাগকাটা চৌখুপি পেরিয়ে

বলতে চায় উল্লাসে-

কুমীর তোমার জলে পা দিলেম।

 

কাঁটাতারের নামবিহীন দেশে

ঝুলে থাকতে থাকতে

নথিপত্রেরা আজকাল

মাঝেমাঝেই ভুল করে

নিজেকে যিশুখ্রীষ্ট ভাবে।


প্রকাশিত হয় মে’খানা শুধু কবিতার পত্রিকায়, তৃতীয় প্রকাশ, মার্চ, ২০১৭ (গুয়াহাটি, অসম) 


June 06, 2020

রবীন্দ্র সংগীত

@কমলিকা 



বৃহত্তর গুয়াহাটি রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন সমিতি, 2017 কর্তৃক প্রকাশিত ‘রবীন্দ্র দর্পণ’ স্মারকগ্রন্থে রয়েছে এই দুটি কবিতা।


রূপকথা

ব্যতিক্রম বিশেষ শারদ সংখ্যা , অক্টোবর 2016-এ  প্রকাশিত (গুয়াহাটি,অসম)


কাঁচগুড়ো


বর্ষার মাঝে দাঁড়ানো

@কমলিকা 

এক বেলজিয়ান গ্লাস

কোনায় সাজা ফুলকারি

হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে

জলবিন্দুর ইঁদুর বেড়াল খেলায়

জমে থাকা উষ্ণ পরতে

মুহুর্তে ধরা দেয় নাম

ম্যনিকিওর্ড হস্ত চালনে

 

বর্ষা মিশেলে একাকার

হারিয়ে গেলে তুমি আরেকটিবার


প্রকাশিত হয় অন্তঃকরণ পত্রিকায়, ৫ম সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (আগরতলা, ত্রিপুরা)

  

ত্রিনয়নী

১) কোল ছাড়ানো

@কমলিকা 
উল্লাস ও উলুধ্বনির সুর


যেখানে মনে হয়

চলচ্চিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর

ঠিক সেই জায়গায়

নতুন শাড়ি আঁকড়ে

বসে থাকে যাপনরণে

সান্ত্বনা পুরস্কার পাওয়া মা।

 

শাড়িতে ওড়ে কড়া মাড় ঘ্রান

চাপা পড়ে পুঁজ, ঘাম ও স্বেদের কলতান

 

২) যুগোপোযগী

 

এ যুগের মানুষের পায়ে পা মিলিয়ে

হাঁটতে হাঁটতে

হাঁটতে হাঁটতে

হাঁটতে হাঁটতে

কবিতাও হিল জুতোর ব্যথা

লুকোতে ঠিক শিখে গেছে

 

৩) মাতৃরূপেন

 

মেয়েমানুষ আর দেবীর মধ্যে

শুধু তফাত তৃতীয় নয়ন

যেদিন সমাজের ৩ নম্বর চোখ

ভাঙ্গবে ঘুম, সেদিন হয়তো

বিণি সুতোর শরীর খেলবে না

আমাবস্যার পুষ্পাঞ্জলী ছেড়ে

ল্যাপটপে কানামাছি খামে।


প্রকাশিত হয় অন্তঃকরণ পত্রিকায়, ৫ম সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (আগরতলা, ত্রিপুরা)  


More to see...