December 08, 2021
ভালোবাসায় ডুবছে শহর
August 22, 2021
ডায়েরীর পাতা থেকে
@কমলিকা |
১)
'বিদায় ভালোবাসা,দেখা
হবে অন্য জীবনে'- এই বলে যে ছেলেটি কফিশপ ছেড়ে গেল, তার
চলে যাওয়ার কথা আমি আগেই জানি। ডি.এন.এর চৌত্রিশ তম ক্রোমোজোমে গাঁথা আছে চলে
যাওয়ার এই মন্ত্র। এভাবেই ছেলেটির বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন একদিন,পড়ে ছিল কিছু এলোমেলো কবিতা। শুনেছি, তার
মা কবিতাগুলো পড়তে পারেনি, সাহস করে,এই জীবনে। মায়ের মৃত্যুর পর কাঁপা হাতে সেই কবিতা তুলে
দিয়েছিল আমাকে। সেই থেকে কবিতারা সেই কাপবোর্ডে বানিয়েছে ঘর। আজ মনে হচ্ছে একবার
পরে নিলে অনেক কিছুই আটকে ফেলা যেত। অথচ,
কবিতারা যে এখন সেখানে আর নেই,সে
ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। তাই আরেক কাপ কাপুচিনো বলেছি।কবিতা হয়ে ওঠার চেষ্টা আজ
থেকেই শুরু করতে হবে।
২)
কিছু গান তার আঁচলের
খুঁটে রাখে বেঁধে মন দরজার চাবিগোছা। এইমাত্র চাবি ঘুরিয়ে এক প্রেমিক গান ঢুকে পড়ল
অন্দরে। স্মৃতির শহরে সে এক নতুন ট্রাভেলার,তুমি
তার একমাত্র পরিচিত।হন্য হয়ে সে খোঁজে তোমার পেস্টেল রংয়ের বাড়ি।অচেনা গলি পার করে
বাড়ির ঠিক সামনের লনে পা রাখতে গানটি টের পায় বাজছে তার লাস্ট মিউজিক
নোট।স্তব্ধতার ঠিক আগের মুহূর্তে সে রেখে যায় কিছু বেলফুল সুবাস মাখা এক রিপ্লে
বটন প্রতীক্ষা।
দৈনিক
বজ্রকন্ঠ' ওয়েবজিনে প্রকাশিত
(আগরতলা, ত্রিপুরা)
১)০৪.০৭.২০২১, ২)২৩.০৭.২০২১,
July 24, 2021
বিসর্জন
@কমলিকা |
দশমীর ডুবো রোদ গায়ে মেখে
নামহীন এক পুকুরপাড়ে আমি,
জানি একটু পরেই তুমি আসবে
আওয়াজ ও আলো-লাল নীল।
হাত ধরে নেমে আসবে দেবী-
এক,
দুই, তিন সিঁড়ি গুনে
তোমার ইশারায় নামতে নামতে
গায়ে মাখা সব আগুনপালক
মিশে যাবে জল বিন্দু হয়ে,
তোমার বিশ্বাস মাখা স্পর্শ
ছাড়া
কাঠামোর আর কিছুই জানা হবে
না।
ঠিক তখনই জল ওঠে নড়ে,
নড়ে ওঠে আমার গচ্ছিত
দেবীভাব।
আগরতলা,
ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত ‘কীর্ণকাল’ পত্রিকায় রয়েছে এই কবিতাটি (৪র্থ বর্ষ, ২০২০)
স্বপ্নতরু
@কমলিকা |
শেকড় গেঁথে যায় নরম
ম্যাট্রেসে,
বেডরুমের হালকা নীল আলোয়
স্পষ্ট দেখি ঝরে পড়া বুনো
ফুল;
তুমি সে নামবিহীন ফুল
তোলো-
যত্নে সাজাও সজল কাঁচের
পাত্র,
ঘর ভরে যায় অচেনা মিষ্টি
সুবাসে
আমাদের বাসর সাজে
প্রতিরাতে।
ফুলের গন্ধে আমার মনখারাপ
হয়,
কবিতাটি
প্রকাশিত হয় আগরতলা, ত্রিপুরার ‘কীর্ণকাল’ পত্রিকায় ৪র্থ বর্ষ, ২০২০
গল্পবিজ্ঞান
@ কমলিকা |
পৃথিবী তোমাকে নিজের দিকে টানছে,
সূর্যর অমোঘ চুম্বক টানে
পৃথিবীকে।
এই আকর্ষণ ভুলে তুমি ভাবছো
বাসস্টপে দেখা মেয়েটির
কালো চোখ।
তোমার হারিয়ে যাওয়া
কক্ষপথে
এখন লাল চাদর রয়েছে বিছানো,
শুধু সময়ের হাত ধরো একবার
হারিয়ে যাও নিজের গতিমতো।
জানবে,সূত্রেরা গন্তব্যে না
পৌঁছলে
বিজ্ঞানের খাতা কখনো শেষ
হয় না।
কবিতাটি
প্রকাশিত হয় প:বঙ্গ জলপাইগুড়ির ‘দুন্দুভি’ সাহিত্য পত্রিকায় (নভেম্বর, ২০২০)
June 05, 2021
May 30, 2021
স্বীকার-অস্বীকারের কাব্যকথা
@কমলিকা |
‘কনফেশন’ বা ‘স্বীকারক্তি’ কথাটা মাথায় এলেই চোখে প্রথম ভেসে ওঠে গির্জার ভেতর বন্ধ ঘরে বসা এক মানুষ। তিনি মন ও মগজের সকল দ্বন্দ -দ্বিধা এক করে বলে চলেছেন অকপটে সকল সত্য কথা। মেলে ধরছেন সব অপরাধ বোধ যতনে এক এক করে। বন্ধ ঘরের লাগোয়া ঘরে সে কথা বসে একমনে শুনে চলেছেন এক পাদ্রী। শ্বেত শুভ্র বসন,হতে ক্রস ও রোজারি। সকল কথার পর পাদ্রী সাহেব যীশুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ভিক্ষা করেন। ওপারের অচেনা মানুষটিকে আদেশ করেন ভবিষ্যত কলুসমুক্ত রাখতে। এর পর যে যার কাজে বেড়িয়ে যায়। ব্যস ,এই টুকুনই গল্প।
এ দৃশ্য যতবার ফিল্মের পর্দা অথবা বইয়ে উঠে
এসেছে,ততবার ভেবেছি – বাহ্, কি সহজ সরল উপায় মনের ভাব লাঘব করার। কোন থানা-পুলিশ,
লোক-লজ্জা কিছুই নেই। তবে এই দৃশ্যটি আগের দিনেই দেখা যেত। আজকাল কনফেশন বক্সের
কথা প্রায়ে চোখেই পরে না। হয়তো মানুষ এখন নিজের মনের কথা নিজেকেই স্বীকার করতে ভয়
পায়। নিজের সৃষ্ট তোরঙ্গে তাই তলাচবী দিয়ে রাখে সকল দুঃখ, হতাশা, পাপবোধ।
সেই বক্সের অকপট স্বীকারক্তির সুত্র থেকেই
আমেরিকায় ১৯৫০ এবং ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে এক ধরনের কবিতার চল হয়, যার নাম কনফেশনাল
পোয়েট্রি বা কনফেশনালিসম্। বিখ্যাত কবি রবার্ট লয়েল, সিলভীয়া প্ল্যাথ , এনি
সেক্সটন, জন বেরীমোর, এবং অন্যান্য সেই সময় লিখে গেছেন একেরপর এক সব অসাধারণ
কনফেশনাল পোয়েট্রি। সিলভীয়া প্ল্যাথের
বিখ্যাত কবিতা ‘ড্যাডি’ কনফেশনাল পোয়েট্রির এক জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ।
‘… If I’ve killed one man, I’ve killed two –
The vampire who said he was you
And drank my blood for a year,
Seven years, if you want to know
Daddy, you can lie back now …’
এ কবিতার প্রতিশব্দে তাঁর অকাল পিতৃবিয়োগ, পিতার প্রতি ঘৃণা ও তার
পরবর্তী বিভীষিকাময় জীবন ফুটে ওঠে।
কনফেশনাল পোয়েট্রিকে বলা হয় আমি-র কবিতা। এখানে
কবি নিজেকে ও নিজের হতাশা, উপলব্ধি, দুর্ভোগ আঁকে শব্দ তুলির ছোঁয়ায়। তবে এই
লুকানো দরজার কথাগুলোর মধ্যে কিন্তু কবি
তার চতুরতার ও বাগ্মিতার পরিচয় রেখে সাজিয়ে যায় এক অক্ষরের মায়াজাল, কবির একেবারে
নিজের মনের কথা তাই হয়ে উঠে পাঠকের মনের গভীর সংকেত।
যে স্টাইলটি বিদেশ একসময় নাড়িয়ে দেয়, অবাক ভাবে
ভারতে তার তেমন ছায়া নেই বললেই চলে। একমাত্র কবি কমলা দাস কে
বাদ দিলে আর কোনো কবিকেই আলাদা ভাবে কনফেশন পোয়েট আমরা পাইনি। কোমল দাসের ‘গ্লাস’
কবিতা তার জীবনে বিভিন্ন পরকীয়া সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে –
‘… I enter
others
Lives, and
Make of every trap of lust
A temporary home.’
সে ভাবে দেখতে গেলে বাংলা ভাষায় কনফেশনাল
পোয়েট্রি আলাদা কোনো জায়গা করতে পারে নি, তবে এই কথাও অস্বীকার করা যায় না – রাতের
সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে। কবিতায় কবি তার সত্তা মিশিয়ে দেয় নিজের
অজান্তেই। তাই, কখনো কখনো সেখানে ধরে পড়ে
মনের গভীরে লুকিয়ে থাক কথা। যেমন কাজী নজরুল লিখেছেন তার সর্বহারা জীবন নিয়ে –
‘ ...বিশ্বাস করুন আমি কবি হতে আসিনি, আমি নেতা
হতে আসিনি, আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম,প্রেম পেতে এসেছিলাম। সেই প্রেম পেলাম না বলে
আমি এই প্রেমহীন নিরস পৃথিবী থেকে নিরব অভিমানে চিরদিনের জন্য বিদায়
নিলাম।...’(যদি বাঁশি আর না বাজে)
উত্তরপূর্বের কাব্যভুবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে
দেশহীনের যন্ত্রনা। নিজের বাসভূমিতে জারজ অস্তিতের কথা ফুটে ওঠে বহু কলমে। কিন্তু
সেই কবিতগুলোয় সার্বজনীন দুঃখ পরিলক্ষিত হয়, অথবা কোনো কাল্পনিক (আদৌ কাল্পনিক নয়)
রূপকের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
এই দুঃখের জয়গাটাতেই আমরা কনফেশনাল পোয়েট্রির হাত
ধরতে পারি। নিজেদের অভিজ্ঞতা, চাওয়া-পাওয়ার ফারাক, স্বপ্ন ও বাস্তব জগত কে এক করে
লিখতে পারি ‘ আমি- র’ কবিতা, ‘আমার’
কবিতা, ‘আমাদের’কবিতা। কিছু দিন আগে মিয়া কবিতার বহুল প্রচার সে দিকেই ইঙ্গিত
দিয়েছিল, কিন্তু ইঙ্গিত আর বাস্তবায়িত হয় নি। এখন সময় শুধু অপেক্ষার।
কনফেশনাল
পোয়েট্রি কোথাও কোথাও নিন্দিত হয়েছে ‘নারসসিসম’-এর দায়। নিজের প্রতি অতিরিক্ত
ভালোবাসা ও বাকি সকলকে উপেক্ষা করা- এই বিষয়টি সমাজ সে ভাবে মেনে নিতে পারেনি। আর
তাই হয়তো এর আলো ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে কোনো এক গোপন চেম্বারে থেকে গেছে এক নিস্তব্ধ
প্রদীপ হয়ে। হয়তো ভবিষ্যতের কোনো এক পথিক এসে এর সলতে একটু উসকে দিয়ে যাবে, আমরা থাকবো সেই প্রতীক্ষায়।
প্রকাশিত হয় অন্তঃকরণ পত্রিকার ৬ষ্ঠ সংখ্যায়, ফেব্রুয়ারী ২০২১ (আগরতলা, ত্রিপুরা)
May 16, 2021
সহজপাঠ
ত্রিষ্টুপ
@কমলিকা
১) কন্সোল্যাশন
প্রাইজ
শুধু এক সান্ধ্য উৎসবেরসাজানো ট্রফি লোভে
যে রক্তগোলাপ হত্যা
নিজহাতে করেছি রচনা
এতবছর পর আজও সে
বই কফিনে উঁকি মেরে
গায় আমার সমূহ ব্যর্থতা।
২)সাদা
কালো
এক
মেয়ের গল্প বলি
মাতাল
আত্মঘাতী স্বামীর
মরদেহ চেয়ে
যে বলেছিল
এতদিন
(সব) জ্বালা জুড়ালো।
চিতাকাঠের
ধোওয়া মেখে
বারোহাতি
বৈধব্য সাজে
সরকারি
অফিসে লিখিয়েছিলো নাম।
অনেক
পরে জেনেছিলামসাদা
শাড়ি পরিহিতাএকদিনশুধু ভালোবেসে
ছেড়েছিল ঘরসেই
থেকে কত প্রেম রঙ
মিশলো
এসে শাড়ির খাঁজে
বোকা
শাড়িখানার তবু
রঙিন
হয়ে ওঠা হলো না।
মিশলো এসে শাড়ির খাঁজে
বোকা শাড়িখানার তবু
রঙিন হয়ে ওঠা হলো না।
৩) বৃষ্টি
তোমাকে দিলাম
তোমার
কথা মনে এলেসেদিন
শহরে বৃষ্টি নামে,
ভালোবাসায়
যায় ছুঁয়ে
এক মেঘ
থেকে আরেক মেঘের বুক;
কল্পনা-কার্নিশে
জমা কথাদের
কাজে
আর থাকে না মন
ব্যস্ত
হাতে বানায় অরিগ্যামি নৌকা,দু' একটায় পাল দিতেও ভুলে না।
তোমার
কথা মনে এলেআমি
নৌকাদের ভিজতে দেই না,
পাট
করে তোষকের নীচে রেখে
শুয়ে
শুয়ে মেঘেদের গান শুনি।
'দৈনিক বজ্রকন্ঠ' ওয়েবজিনে প্রকাশিত (আগরতলা, ত্রিপুরা)১)৩১.০১.২০১৯ , ২)৩০.০৩.২০১৯ , ৩)২৬.০৩.২০২০
ভালোবাসায় যায় ছুঁয়ে
এক মেঘ থেকে আরেক মেঘের বুক;
কল্পনা-কার্নিশে জমা কথাদের
কাজে আর থাকে না মন
ব্যস্ত হাতে বানায় অরিগ্যামি নৌকা,
তোমার কথা মনে এলে
পাট করে তোষকের নীচে রেখে
শুয়ে শুয়ে মেঘেদের গান শুনি।
সময় অসময়
@কমলিকা |
এখন একা থাকার এক বিবর্ণ সময়
শত্রুর
ঘায়ে দরজায় পড়েছে ডাবল লক,
মানুষ
একলাই ছিল এই জীবনে চিরকাল,
সবাই
জানে,তুমিও জানো সঠিক।
একদিন
সূর্য উঠলে দেখো চেয়ে
ড্যান্ডেলিওন
ফুলে সেজে আছে শহর,
প্রতিটি
বন্ধ দরজার ধুলো মাখা ফাঁকে-
আমাদের
মনের যা কিছু ভালো
হয়ে
উঠবে এক একটি সফেদ রেনু।
অপেক্ষায়
থেকো সে সময়ের,
গাছে
জল দিও দুবেলা,যত্ন মেখে
বসন্ত
ঋতুচক্রের শেষে ফিরে আসে,
সবাই
জানে,তুমিও জানো সঠিক।
দৈনিক বজ্রকন্ঠে প্রকাশিত ১৭.০৫.২০২০ (আগরতলা, ত্রিপুরা)
সেল্ফি কথা
@কমলিকা
আধঘন্টা
আগে অনলাইনে যে ছবি
সাজিয়েছি,জানি সে হেঁটে চলেছে
তোমার
মোবাইলের প্রযুক্তি গলি,
নতুন
নাম এখন দুশো পঁয়ত্রিশ।
রাত
ঘুমিয়ে পড়লে সেই জমে থাকা
ছবিগুলো
ভাঙে তার চেনা চৌকাঠ,
একে
একে দাঁড়ায় বিছানার চারপাশে।
তুমি
তো জানো না ঘুমন্ত প্রহরী,
আমারও
মুঠোয় আছে এক লকার।
সেল্ফিরা
বলবে ভালোবাসি -অপেক্ষায় আছি।
আগরতলা, ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত হয় 'বজ্রকণ্ঠ' ওয়েবজিনে (১৪.০৬.২০২০)
ছায়া শরীর
ঘুম হারা রাতে যে ছায়াশরীর
জড়ো করেছে জোছনা ফুল,
নরম আলোয় জ্বলতে দেখেছি
ঘাড়ের পাশে এক মিশকালো তিল।
অথচ এ রাত শুধু আমার ছিল,
ছিল ওই তিল আঁকা মায়াবী শরীর,
ছিল মুঠোয় ভরা ফুল পরশ।
এত আলো দূরে ফেলে রেখে আজ
বলতে পারো কেন দাঁড়িয়ে আছি
ওয়ালর্যাকে রাখা বাহারি মুহূর্ত হয়ে?
২)
যেই আল্ট্রা মেরুন হাই হিল
অবহেলায় পার করেছে পথ,
জানবে সে তোমার ছায়াশরীর।
এইভাবেই কতো অজানা বসন্তে
ঢেলে দিয়েছো শরীর মাখা আগুন,
ফরেস্ট ছুঁয়ে ক্রিমসন তুলিটান।
পথিক,তুমি যে আগুনের রঙ চেনো,
সে তার প্রকৃত গঠন জেনে ফেলেছে।
হাতে গোনা বাসন্তী পলাশের পর
দেখবে, সে একদিন তুমি হয়ে যাবে,
তাকিয়ে দেখবে তোমার-ই দুচোখে
অন্য এক সদ্যকিশোরী ছায়াশরীর।
প্রকাশিত ত্রিপুরা, আগরতলার ওয়েবজিন 'দৈনিক বজ্রকন্ঠে'
১) ১১/০২/২০২০ ২)১২/০৮/২০২০
বাজার
April 15, 2021
রনো ও আমি
@ কমলিকা |
১)
নির্ভীক প্রেমে বুকের পাটা দরকার;
আমার রিব-কেজ গড়া সকল মাটি
রনো নিজ হাতে শাবল চালিয়েছে
কোটর মাঝে রেখে গেছে
কিছু উডরোজ ও অক্ষরজাল,
এখন আমি শুধু লুকিয়ে দেখি
সুদীর্ঘ কালো শঙ্খচূড়ের মতো নিশ্বাস
দেখি আর বসে থাকি অপেক্ষায়
এক অশান্ত শ্রাবণ বৈশাখীর-
মানুষভর্তি রাস্তায় বেরিয়ে পড়বো একা
শহরের পাথুরে মাটি লেপবো বুকে
নতুন সফেদ হাড় গজাবার মন্ত্র
লিখে রেখে যাবো আরেক পাঁজর কোঠায়।
২)
চোখে বেখেয়ালে সাজিয়েছি
দুফোঁটা টলটলে গ্লিসারীন
সকল নায়িকারা সেটাই মাখে
দুঃখী শটের ঠিক আগে
এ খবর লেখা আছে
কোনো এক সিনেমার চটুল পাতায়;
যে বান আজ নেমে এলো
দেখি সে অতি সাধারণ
তাকে অশ্রু ডাকা মানায় না
ইমোশনের বড় অভাব
কাঠ মার্কা শহুরে বাবুর মতো,
অথচ,আমার রাত জাগা গল্প জানে
তুমি এলেই চোখে আসে জল
সামনের পটে জমে ওঠে ভাপ
তোমায় দেখতে ইচ্ছে হয় রনো
তুমি কি সেই খাঁটি গ্লিসারীন
আর বাজার চলতি যা কিছু
পুরোটাই বাতিল,পুরোটাই ভেজাল?
রনো, অনেক রাত হলো
এবারে চোখে এস নেমে
কবে থেকে ক্যামেরা রোল হচ্ছে
এবার আমি শেষ শট দেবো।
প্রকাশিত ত্রিপুরা, আগরতলার ওয়েবজিন 'দৈনিক বজ্রকন্ঠে'
১) ২৭/০৬/২০১৯ ২)১৬/০৯/২০১৯
প্রথম কবিতাটি ২১/১০/২০১৯ এ আলিপুরদুয়ার থেকে প্রকাশিত ওয়েবজিন 'কবিতা করিডোর'-এ ও স্থান পায়।
More to see...
-
Quilling or more specifically Paper Quilling is an art form of creating designs and images using strips of coloured paper that are rolled...
-
কামাখ্যা নগর পুজো কমিটি দ্বারা প্রকাশিত ‘অভিজ্ঞান’, চতুর্দশ সংখ্যা, ২০১৭-য় রয়েছে এই কবিতাটি (গুয়াহাটি, অসম)
-
The walnut shells provide a very strong base and can be used in art collages with the help of some glue, acrylic colours and little bit of...
-
‘পঞ্ছি নদীয়া পবনকে ঝোঁকে, কোই সরহদ না ইনহে রোকে’ না, না, এ কোনো বাঙ্গালী কবির লাইন নয় আমি জানি , জাভেদ আখতারের শব্দ ও সোনু নিগমে...
-
আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থের রিভিউ : নীলদীপ চক্রবর্তী : বাংলা কবিতার সুদীর্ঘ ইতিহাস, মহাকাব্য বা পুরাণের গল্পগাথার সঙ্গে জড়িয়ে পাড়ি দিয়ে এসেছে...